শিরোনাম
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি

ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাট-বাজার বসালে অধিগ্রহণ করবে সরকার

ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাট-বাজার বসালে অধিগ্রহণ করবে সরকার

ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোথাও স্থায়ী হাট-বাজার বসানো হলে তা অধিগ্রহণের বিধান রেখে আনা হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন-২০২২ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এটা আগে একটা অর্ডিন্যান্স ছিল ১৯৫৯ এর। এটাকে যুগোপযোগী করে আইন বানানো হয়েছে।

“এখানে প্রায় ২৬ টি ধারা আছে। এই আইনের বিধান ছাড়া কোথাও কোনো হাট-বাজার বানানো যাবে না। হাট বাজার যদি বানানো হয় তাহলে সরকার খাস জমি হিসেবে নিয়ে নেবে।”

ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমি যদি আমার বাড়িতে কোনো হাট বাজার বসাই, এটা মোহন মিয়ার একটি মামলা ছিল সরকারের সাথে। উনি তখন কোর্টে গিয়ে জিতলেন যে এটা আমার ব্যক্তিগত হাট-বাজার, এটা খুব বিখ্যাত একটি মামলা।

“পরবর্তীতে সরকার ডেফিনেশন পরিবর্তন করে বলল যে, যেখানেই কেউ হাট-বাজার বসাবে সেটা খাস জমি হয়ে যাবে।”

প্রস্তাবিত আইনের প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখনও সরকারের পারমিশন ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। এখানেও আগের ডেফিনেশন স্ট্যান্ড করবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অনুমতি দেবে।

 

“হাট-বাজারের কোনো জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা যাবে না। তবে এ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসক অস্থায়ীভাবে একজনের বিপরীতে সর্বোচ্চ আধা শতক জায়গা প্রদান করতে পারবে। এর বেশি দেওয়া যাবে না।”

ব্রিফিংয়ে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরকার গেজেট দিয়ে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইনের ৯২ ধারা অনুসারে খাস ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত তারিখ থেকে যে কোনো হাট ও বাজার দখল করতে পারবে।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, হাট ও বাজার অর্থ যে স্থানে জনসাধারণ কর্তৃক দৈনিক অথবা সপ্তাহের নির্দিষ্ট কোনো দিন কৃষিপণ্য, ফলমুল, হাঁস-মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় পণ্য বা অন্য কোনো পণ্য বা শিল্পজাত পণ্য ও দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় হয় এবং সেই স্থানে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য স্থাপিত দোকানও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।