শিরোনাম
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি

প্রথম নারী বিচারক পাচ্ছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

প্রথম নারী বিচারক পাচ্ছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন আয়েশা মালিক।

দেশটিতে বিচারকদের নিয়োগ-পদোন্নতি দেখভালে নিয়োজিত জুডিশিয়াল কমিশন বৃহস্পতিবার ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।  

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর আয়েশা মালিক প্রথম নারী বিচারক হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন।

সে দেশের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এমপি এবং আইন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক টুইটে বলেন, “পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে একজন মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।”

অবশ্য ঐতিহাসিক এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েও মতভেদ রয়েছে পাকিস্তানে। রয়টার্স লিখেছে, নয়-সদস্যের ওই কমিশনই গত বছর বিচারক হিসেবে আয়েশার নিয়োগ ঠেকিয়ে দিয়েছিল, এবং বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতেও চারজন আয়েশার নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দেন।


অনেক আইনজীবী এবং বিচারকও এই নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি, জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘন করে তাকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিম্ন আদালতের জ্যেষ্ঠ তিন বিচারকের তালিকায় আয়েশা মালিক ছিলেন না, যেখান থেকে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন।

ইসলামাবাদের আইনজীবী এবং অধিকার কর্মী ইমান মাজারি-হাজির রয়টার্সকে বলেন, “বিচারক হিসেবে আয়েশা মালিকের যোগ্যতা নিয়ে কখনোই কোন প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন, তাদের এই হঠকারি ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য।”

এই নিয়োগে বিচারকের লৈঙ্গিক পরিচয়ের অপব্যবহার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বেশ কিছু আইনজীবী এই নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়ার এবং আদালতের কার্যক্রম বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন।