শিরোনাম
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি

বিক্ষোভ-সহিংসতায় শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বে মৃত্যু ৫

বিক্ষোভ-সহিংসতায় শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বে মৃত্যু ৫

অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে প্রবল সরকারবিরোধ বিক্ষোভ আর সহিংসতায় পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া একটি দিন পেরিয়ে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘাত নিয়ন্ত্রণে সোমবার জারি করা কারফিউয়ের মেয়াদ বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবি মেনে পদত্যাগ করছেন না প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। 
তিনি নতুন কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। 

গোটাবায়ার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপকসে সোমবার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। দিনভর বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন, আহত হয় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।

মাহিন্দা রাজাপাকসে মঙ্গলবার সকালে সেনা সদস্যদের নিরাপত্তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রি ছেড়ে গেছেন।

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিরোধী দলগুলো এই দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকেই দায়ী করে আসছেন।

সোমবার রাজাপাকসের পরিবারের সমর্থকরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভে থাকা সরকারবিরোধীদের ওপর হামলে পড়লে সংঘাত ব্যাপক মাত্রা পায়। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপকসে।

সন্ধ্যার দিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা কলোম্বো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে হাম্বানটোটায় রাজাপাকসে পরিবারের পৈতৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। কয়েকজন এমপি এবং সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতেও এ সময় আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

ছবি: রয়টার্সছবি: রয়টার্সশ্রীলংকার রাজনীতিতে প্রায় ২০ বছর ধরে আধিপত্য করে এসেছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার সরকারই শ্রীলংকায় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে তামিল টাইগারদের নির্মূল করেছিল। সেই পরাক্রমশালী নেতাকে বিদায় নিতে হল অর্থনৈতিক দুর্দশা আর বিক্ষোভের মধ্যে।
 তামিল টাইগারদের নির্মূল করে প্রশংসা কুড়ালেও মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকার পরে মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘনের অভিযোগে জর্জরিত হয়। সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও করেন।

শ্রীলঙ্কার বড় সঙ্কট হয়ে এসেছে হাতে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার না থাকা। এজন্য সরকার মহামারীকে দায়ী করলেও বিশেষজ্ঞরা দুষছেন অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে।

শ্রীলঙ্কা সরকার এখন ৫১ বিলিয়ন দেনার ভারে ডুবতে বসেছে। ঋণের কিস্তি হিসেবে দেশটির এই বছর ৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের কথা থাকলেও ওই অর্থও দেশটির হাতে নেই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে হাত পাতলেও তেমন সাহায্য পায়নি।